রোববার, ২ জুন ২০২৪
না.গঞ্জের সাত খুনের ১০ বছর

সাড়ে ৫ বছর ধরে আপিল বিভাগে মামলা, হয়নি শুনানি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৪
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৪

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের ঘটনার আজ দশ বছর। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাতজনকে অপহরণ করে খুন করে দুর্বৃত্তরা। পরে একে একে তাদের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে। এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াসহ ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখে অন্যান্য আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলাটি শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। এতে বেশ শঙ্কার মধ্যে রয়েছে নিহতের স্বজনরা।

জানা যায়, সাত খুনের মামলায় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম মাসুদ রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদানের আদেশ দেন।

পরে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখে অন্যান্য আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন উচ্চ আদালত। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সাড়ে পাঁচ বছর ধরে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টের দেওয়া রায় সন্তোষজনক হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তবে আপিল বিভাগেও এ রায় বহাল থাকবে বলে প্রত্যাশা করছেন নিহতের স্বজনরা। সেই সঙ্গে সাজার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান তারা।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় জেলে বসে কলকাঠি নাড়ছে। তাদের প্রভাব এখনও এলাকায় রয়ে গেছে। এদিকে আপিল বিভাগে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ার ফলে নিহতদের পরিবার সদস্যদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নুপুর বেগম বলেন, দশ বছর ধরে বিচারের আশায় বুক বেঁধে আছি। কিন্তু বিচার তো পাচ্ছি না। বিচার চাইতে চাইতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই মামলাটি আপিল বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। আমরা চাই মামলার রায় বহাল রেখে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক এবং এই মামলার রায় কার্যকর করা হোক।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলাটি চলমান রয়েছে। প্রত্যাশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন, মনিরুজ্জামান স্বপনের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিমসহ সাতজন অপহৃত হন।

অপহরণের তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল নজরুল ইসলামসহ ৬ জন ও ১ মে সিরাজুল ইসলাম লিটনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দরের শান্তিরচর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় আলাদা দুটি মামলা দায়ের করেন।


সলঙ্গা গণহত্যায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে হাইকোর্টের নির্দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ওই সময়ের পুলিশের গুলিতে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় গণহত্যার স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, বিদেশি পণ্য বর্জন ও স্বদেশি পণ্য ব্যবহার করার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের সলঙ্গা হাটে গণহত্যা সংঘটিত হয়। যেখানে মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে সলঙ্গা এলাকায় আন্দোলনরত জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ব্রিটিশ পুলিশ। এতে সরকারি হিসেবে চার হাজার স্থানীয়দের মতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে।

এ আইনজীবী জানান, সলঙ্গা গণহত্যাকে জাতীয় দিবস ঘোষণা চেয়ে সিরাজগঞ্জে বাড়ি এমন ১১ জন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। আজ শুনানি নিয়ে রুলসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে। রুলে ২৭ জানুয়ারি সলঙ্গা গণহত্যাকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সাথে এই গণহত্যা সংঘটনের স্থানে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

বিষয়:

‘এমপি আনার হত্যায় জড়িত সিয়াম নেপালে আটক’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার তদন্ত করতে আজ শনিবার সকালে নেপালের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।

ডিবি পুলিশ ও এনসিবির একজনসহ মোট চারজনের একটি দল নেপালের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুনুর রশিদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ গেটে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শাহীনের সহকারী সিয়াম নেপালে আটক হয়েছেন বলে শুনেছি৷ এ ছাড়া হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর অন্যান্য আসামিরাও নেপালে যাওয়া সম্ভাবনা আছে। সবদিক বিবেচনা করে আমরা সেখানে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গে‌ছে। সেসব তথ্য ক্রস‌চেক করা হবে।

হারুন বলেন, ‘ইদানিং বাংলাদেশের অনেক সন্ত্রাসী নেপালের কাঠমান্ডুর মাটিকে পালানোর রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে আমাদের সংসদ সদস্য আনার হত্যার মূল মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীন এই কাঠমান্ডুর মাটি ব্যবহার করে অন্য দেশে চলে গেছেন। আরও অনেক আসামি এখানে আত্মগোপনে থাকতে পারে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। এর আগেও অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীর নেপালে থাকার কথা শুনেছি। আমরা যখন যেখানে গিয়েছি তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়েছে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কিন্তু আমাদের ভালো যোগাযোগ ও সম্পর্ক হয়েছে। মূলত আমরা তদন্তের কাজে নেপাল যাচ্ছি। আমরা কাঠমান্ডু পুলিশের সঙ্গে ইন্টারেকশন ও তদন্ত কাজে সহযোগিতা চাইব।’

সিয়াম হাসান নামে নেপালে একজনকে আটক করা হয়েছে। সেজন্যই কি আপনারা নেপাল যাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, সব বিষয় নিয়েই আমরা কাঠমান্ডু যাচ্ছি। অনেক আসামিই সেখানে থাকতে পারেন। আমরা যাচ্ছি তথ্য সংগ্রহ করতে। আমরা মনে করি যে, ভবিষ্যতে যাতে কোনো অপরাধী অপরাধ সংঘটিত করে নেপালে বা কাঠমান্ডু যেতে না পারে। সে বিষয়টি আমরা কাঠমান্ডু পুলিশকে জানাব।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনার হত্যার ঘটনায় কয়েকজন আসামি কাঠমান্ডু গেছেন। এরপর কেউ অন্যত্র চলে গেছেন। কেউ সেখানে থাকতে পারেন। সেই বিষয়েই তদন্ত করতে কাঠমান্ডু যাচ্ছি।

এর আগে কিন্তু আপনি বলেছিলেন, সিয়াম হাসান নেপালে থাকতে পারেন। এ ব্যাপারে জানতে আপনার মন্তব্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, আমরা কিন্তু পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবির মাধ্যমে ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছি। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে কাঠমান্ডু পুলিশকে জানিয়েছি যে সংসদ সদস্য আনার হত্যায় জড়িত সিয়ামসহ কয়েকজন আসামি কাঠমান্ডু থাকতে পারেন। তারা যদি থাকে তাহলে তাদের যেন গ্রেপ্তার করা হয় সেজন্য অনুরোধ করেছি। এই বিষয়ে অগ্রগতি জানতে আমরা নেপাল যাচ্ছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার জিহাদ তালুকদারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বাংলাদেশে আমাদের মূল আসামি কয়েকজন আছে। তাদের সঙ্গে তো কথাবার্তা হয়েছে। এমপি আনার হত্যায় জড়িতরা ছাড়াও অনেক অপরাধী কিন্তু কলকাতা রুটকে ব্যবহার করছে। সংসদ সদস্য আনার হত্যায় জড়িতরা যে কলকাতা রুট ও কাঠমান্ডু রুট ব্যবহার করেছে সেটা আমরা কলকাতাকে যেমন বলেছি, নেপালকেও বলব।

এর আগে গত ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরের দিন, ১৩ মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও জানান তিনি। পরে বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি।

২০ মে এমপি আনারের খোঁজ করতে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে। তারা জানতে পারে, কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর ১৭ মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারে। পরে বুধবার (২২ মে) ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেন্সের একটি ফ্লাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে।


এমপি আনার হত্যা: ফের ৫ দিনের রিমান্ডে ৩ আসামি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ শুক্রবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৩ আসামি হলেন— শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমান উল্লাহ সাঈদ (৫৬), তানভীর ভুঁইয়া (৩০) ও শিলাস্তি রহমান (২২)।

প্রথম দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে এদিন দুপুরে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে আবারও ৮ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান।

শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২৪ মে এই তিন আসামির ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।

বিষয়:

এমপি আনার হত্যার তদন্তে মাঠে নামল ১৩ গোয়েন্দা

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এমপি আনার হত্যার তদন্ত করতে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ দল। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি এই তদন্তকে ‘হাইপ্রোফাইল’ হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) বা ‘সিট’ গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে।

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সব মামলার তদন্ত করতেই সাধারণত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা এসআইটি গঠন করা হয়। এটিকে ‘সিট’ বলেও দাবি করা হয়।

এমপি আনার হত্যা মামলা গ্রহণের ৯ দিনের মাথায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট বা সিআইডির মধ্যে নতুন এই দল গঠন করে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একজন আইজিকে। সঙ্গে রয়েছেন আরও ১২ জন অভিজ্ঞ গোয়েন্দা।

আপাতত ১৩ জনের এই গোয়েন্দা দলই আনার হত্যা মামলার তদন্ত করবে বলে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

নতুন তদন্ত দলটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত, নেপালে পালিয়ে থাকা সিয়ামের গতিবিধিও নজরবন্দি করা হয়েছে। সেখানে সিআইডি ছাড়াও কাজ করছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্কফোর্স। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সেখানে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাও একইভাবে কাজ করছে।

তবে নেপালে গ্রেপ্তার হলে সিয়ামকে কীভাবে আনা হবে, সেই বিষয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল-তিন দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে এরই মধ্যে আলোচনা শেষ হয়েছে।

জানা গেছে, এমপি আনার হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত সিয়াম মরদেহ গুম করে নেপালে আত্মগোপন করেছে। আর সিয়ামের বিষয়ে কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়া কসাই জিহাদও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, ভিসা না পাওয়ায় এমপি আনারের মেয়ে ডরিন ও এমপির ব্যক্তিগত সহকারী এখনও কলকাতায় যেতে পারেননি। শনি ও রোববার দু-দিন বন্ধ থাকায় সোমবারের আগে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

এ ছাড়া গত ২৮ মে উদ্ধার হওয়া মাংসপিণ্ডের ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে এসে পৌঁছেছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা সূত্রগুলো।

বিষয়:

‘বালিশের নিচে অস্ত্র রাখা’ সেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে নানা অনিয়ম ও অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রুহুল হক। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

প্রায় দুই বছর আগে কামরুন নাহারের একটি অডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। অডিওর সেই বক্তব্যে একজনকে ধমক দিয়ে বলছিলেন যে, তিনি বালিশের নিচে পিস্তল রেখে ঘুমান।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহার প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনের আদেশ ভঙ্গ করে অবৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৭২ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেন। মন্ত্রণালয়ের এ আদেশ ভঙ্গ করে তিনি অসদাচরণ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

দুদকের অনুসন্ধানে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় পাওয়া যায়, মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটি কোনো শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবে না। তারপরও কামরুন নাহার ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি স্কুলের অভ্যন্তরীণ নোটিশ বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন এবং একক স্বাক্ষরে ৭২ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, এ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষক অবসর গ্রহণ করার কারণে নতুন করে এনটিআরসির মাধ্যমে শূন্যপদে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অস্থায়ীভাবে। স্কুল ফান্ড থেকে এদের যাবতীয় বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। এই অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের অব্যাহতি প্রদান বা পরবর্তীকালে এনটিআরসির মাধ্যমে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কামরুন নাহার। যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের কোনো ধরনের লিখিত কিংবা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। শুধু অল্প কয়েকজনের ডেমোনেস্ট্রেশন ক্লাস নেওয়া হয়েছিল। স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে নামমাত্র একটি নিয়োগ কমিটি করা হয়। এই কমিটির মাধ্যমে শুধু প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যাচাই করে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এসব নিয়োগ দিয়েছেন।

এতে পরবর্তী সময়ে এসব শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন প্রদান নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তিনি শিক্ষক নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা উপেক্ষা করেছেন। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও তিনি এনটিআরসির মাধ্যমে শূন্য পদে স্থায়ী নিয়োগ না দিয়ে, কোনো জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে, কোনো লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে অভ্যন্তরীণ শিক্ষকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে শুধু শিক্ষাগত সনদ যাচাই করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানাটিতে শিক্ষার মানের ক্ষতি হয়েছে।

মামলার তদন্তকালে এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

বিষয়:

আনার হত্যার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে: হারুন

 ‘যেসব তথ্য সংগ্রহ করতে কলকাতা গিয়েছি, তা পেয়েছি’
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে আজ বিকেলে কলকাতা থেকে দেশে ফিরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, এমপি আনার হত্যার তদন্তে যেসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে কলকাতা গিয়েছিলেন, তা শতভাগ পেয়েছেন।

এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরাগুলো সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের বলে মনে করছেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, আলামত উদ্ধার ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করায় আনার হত্যার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলেই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ডিবিপ্রধান বলেন, আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আরেকজন অভিযুক্ত নেপালে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। আমরা কাঠমান্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করছি।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরাগুলো সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের বলে মনে করছি।

হারুন অর রশীদ বলেন, আনোয়ারুল আজিম আনারকে গত ১৩ মে কলকাতার মাটিতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশে একটি মামলা রুজু হয়েছে, পাশাপাশি একই ঘটনায় কলকাতায়ও একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে তিনজন গ্রেপ্তার রয়েছেন। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে আর হত্যাটি সংঘটিত হয়েছে কলকাতায়। মামলাটি তদন্তের জন্য আমরা কলকাতায় গিয়েছিলাম। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা এবং ঘটনাস্থলের এভিডেন্সগুলো দেখতে সেখানে গিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, মামলায় ভিকটিমের মরদেহ বা মরদেহের অংশবিশেষ না পাওয়া গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তার (আইও) সুরতহাল, ভিসেরা ও মেডিকেল রিপোর্ট দিতে বেগ পেতে হয়। এগুলো না পাওয়া গেলে মামলাটি নিষ্পত্তি করাও অনেক কঠিন হয়ে যায়। আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের হাতে গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্য ক্রসচেক করেছি। এ ছাড়া কলকাতায় গ্রেপ্তার আসামির তথ্য যাচাই-বাছাই করেছি। মামলার অন্যতম আসামি কসাই জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা সিআইডিসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত মেলানোর চেষ্টা করেছি।

হারুন বলেন, আমরা কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম সুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাঙ্ক দেখার জন্য। সেটা করা হয় এবং আমরা মনে করি সেখান থেকে ভিকটিমের মরদেহের কিছু টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতীয় পুলিশ ফরেনসিক ও ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা করে এ বিষয়ে জানাবে। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করি, স্বাভাবিক ফ্লাশের মাধ্যমে মাংসগুলো সেখানে যায়নি। তাই আমরা মনে করছি, মরদেহের খণ্ডাংশগুলো এমপি আনারের হতে পারে।

এদিকে কলকাতা ছাড়ার আগে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, যে উদ্দেশে এসেছিলাম আমরা কিন্তু একশ ভাগ সফলতা নিয়েই বাংলাদেশে ফিরছি।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা সিআইডি পুলিশকে রিকোয়েস্ট করেছি, আসামিদের ব্যবহৃত কমোড, সেপটিক ট্যাঙ্ক চেক করতে। তা করা হয় এবং সেখান থেকেই মরদেহের অংশবিশেষ উদ্ধার হয়েছে।

এদিকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন ও পলাতক আসামি সিয়ামের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গ অপরাধ তদন্ত বিভিাগ (সিআইডি) ‘লুকআউট’ নোটিশ জারি করেছে।

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি ধারণা করছে, শাহীন ও সিয়াম নেপালে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন। যে কারণে তাদের খোঁজে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। কলকাতা সিআইডির একটি টিম পলাতক দুজনের খোঁজে নেপালে যেতে পারে।

এদিকে, গত মঙ্গলবার সিআইডির ফরেনসিক টিম নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটের সেপটি ট্যাঙ্ক থেকে তিন থেকে চার কেজির মতো মাংসপিণ্ড-সদৃশ বস্তু, চুল ও হারের টুকরা উদ্ধার করেছে। সেগুলো নিহত এমপি আনারের দেহাংশ কি না, জানতে ফরেনসিক পরীক্ষা করবে সিআইডি। ফরেনসিক পরীক্ষায় এমপি আনারের দেহাংশ বলে প্রমাণিত হলে তার পরিবারের কোনো এক সদস্যের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হবে।

উদ্ধার হওয়া মাংসপিণ্ড-সদৃশ বস্তুগুলো এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের কি না, তার ডিএনএ টেস্টের জন্য কলকাতা যাবেন এমপির ছোট মেয়ে ও ঢাকায় হওয়া মামলার বাদী মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। গত বুধবার তিনি সাংবাদিকদেরে বলেন, উদ্ধারকৃত বস্তুগুলো ডিএনএ টেস্টে প্রমাণ হতে হবে। প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আমার পরিবার মেনে নেবে না।

পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মাংসপিণ্ড-সদৃশ বস্তু উদ্ধার হলেও মাথা বা অন্যান্য অংশ উদ্ধার হয়নি। সেগুলোও উদ্ধার করতে শাহীন ও সিয়ামকে আটক করতে হবে।

ডিবিপ্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ২৬ মে কলকাতায় যায়। কলকাতা থেকে তারা যান নিউটাউন থানায়। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে তারা কৃষ্ণমাটি বাগজোলা খাল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেন্স, সিআইডি ভবন, হাতিশাল খালসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, সিআইডি এডিজি আর রাজাশেখরণের সঙ্গেও কথা বলেন হারুন অর রশীদ।


র‌্যাব কর্মকর্তা উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ র‌্যাব-২-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রমোট) উত্তম কুমার বিশ্বাসকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে দুদকের পক্ষে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক। শুনানি শেষে বিচারক আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, উত্তম কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়, যা বর্তমানে চলমান। এরই মধ্যে তার ও স্ত্রীর নামে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া বেশ কিছু রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনি দুদকের নোটিশ পাওয়ার পরপরই অসংখ্য হিসাব থেকে সব টাকা উত্তোলন করে হিসাব বন্ধ করেন, যা সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান হয়।

এ ছাড়াও তিনি অনুসন্ধানের শুরু থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা করেননি, বরং বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত করার অপচেষ্টা এবং অহেতুক সময়ক্ষেপণ করছেন বলেও বিশ্লেষণে উঠে আসে।

অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, উত্তম কুমার সব হিসাব বন্ধ করে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা।


করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাহেদসহ ৫ জনের বিচার শুরু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে দুই লাখ ৬৬ হাজার অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ পাঁচজনের বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন দীপায়ন বসু (৩২), অনিন্দ্য দত্ত (৩১), মাসুদ পারভেজ (৪০) ও মো. মিজানুর রহমান (৩৯)। এদের মধ্যে দীপায়ন ও অনিন্দ্য মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে দুই লাখ ৬৬ হাজার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ২০২০ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন একশিড করপোরেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।

মামলাটি তদন্ত শেষে রাজধানীর উত্তরা-পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াদুর রহমান ২০২১ সালের ৩০ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।


আনার হত্যা: শাহীনকে দেশে ফেরাতে ভারতের সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ

কলকাতা থেকে বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি ডিবিপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ আক্তারুজ্জামান শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনতে ভারতের সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার আগে কলকাতায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন হারুন।

তিনি জানান, এমপি হত্যার অন্যতম আসামি ফাইজুল ওরফে সিয়াম নেপালে আত্মগোপন করেছে। তাকে শিগগিরই গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছে। তাকে ধরতে ভারত সরকারের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে শুধু ইতিবাচক অগ্রগতিই হয়নি, খুব শিগগিরই এমপি আনারের দেহের অংশের সন্ধানও মিলবে বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন হারুন আর রশীদ।

এদিকে খুব শিগগিরই ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে সিআইডি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। এই প্রতিবেদন হাতে পেলে গোয়েন্দারা তদন্তের দ্বিতীয় ধাপ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মাংসের নমুনা পাঠাবেন। আর এর জন্য যেকোনও সময় কলকাতা পৌঁছাচ্ছেন এমপি কন্যা।

তবে এমপি আনারের দেহ কিংবা খুনের কোনও আলামত গোয়েন্দারা পাননি। ঢাকার গোয়েন্দা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কলকাতায় যাবার পরই তদন্তে গতি আসে। তাদের নির্দেশনার ভিত্তিতেই ভাঙা হয় সঞ্জিভা গার্ডেন্সের যে ফ্ল্যাটে আনার খুন হয়েছেন সেই ফ্ল্যাটের প্যান এবং সেপটিক ট্যাংক। ২৮ মে সন্ধ্যায় সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হয় প্রায় সাড়ে চার কেজি মাংসপিণ্ড, মানুষের চুল এবং হাড়ের গুঁড়ো।

গোয়েন্দারা ধারণা করছেন উদ্ধার হওয়া ওই মাংস, চুল এবং হাড় খুন হওয়া এমপি আনোয়ারের হতে পারে। তবে সেটা চূড়ান্তভাবে বলা যাবে ফরেনসিক এবং ডিএনএ পরীক্ষার পর।

গত রোববার ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই আনার হত্যা মামলার তদন্ত করতে ঢাকার গোয়েন্দা প্রধানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতায় যান। মামলাটির তদন্তকারী সিআইডি নিউটাউন থানার পুলিশ এবং ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে গত চারদিন কাজ করেছে ঢাকার গোয়েন্দারা।

গেল ১২ মে পশ্চিমবঙ্গে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ তারিখ থেকে রহস্যজনক নিখোঁজ হলে ১৮ মে বরানগর থানায় তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ২২ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইডি প্রধান সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন যে, এমপি আনার খুন হয়েছেন।

বিষয়:

র‌্যাবের নতুন মহাপরিচালক হারুন

ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাবের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এ নিয়োগের খবর জানানো হয়েছে।

এম খুরশীদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হবেন হারুন অর রশিদ। পৃথক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, বর্তমান মহাপরিচালক খুরশীদ হোসেন অবসর-উত্তর ছুটিতে যাবেন। যা আগামী ৫ জুন থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের ৪ জুন।

এদিকে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের আদেশটি কার্যকর হবে ৫ জুন থেকে। ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামে। বর্তমানে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি (হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট) পদে কর্মরত। এর আগে ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন তিনি।

হারুন অর রশিদ ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এমএসসি করেন। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি এবং ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকে অসম্ভব মেধাবী হারুন অর রশিদের বাবা আহম্মেদ আলী ছিলেন ব্যবসায়ী। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। হারুন অর রশিদ ১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকরি করেছেন।

বিষয়:

জেনারেল আজিজের দুর্নীতির বিষয়ে যা বললেন দুদক চেয়ারম্যান

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

আজ বুধবার আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে করা আবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে অভিযোগ আমলযোগ্য হলে সেটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান। আবেদন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা আইন অনুযায়ী অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতেই দুদকে আবেদন করেছেন তিনি। আর দুদক ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করবেন বলেও জানান অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।’

গত ২০ মে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধানকে ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১(সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে আজিজ আহমেদ সামরিক বাহিনীর ঠিকাদারি তার ভাইকে পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং অপরাধ করা সত্ত্বেও নিজের ভাইদের বাঁচাতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।

বিষয়:

‘এমপি আনার হত্যার ‘মূল কারণ’ এখনো অজানা’

ডিএমপির সদর দপ্তরে বুধবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ মে, ২০২৪ ১৬:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ‘মূল কারণ’ এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আজ বুধবার ডিএমপির সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘ডাটাবেজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস অব রোড ক্র্যাশ (ডিএআরসি) সফটওয়্যার’ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সংসদ সদস্যকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে অর্থাৎ হত্যার মোটিভ কী— এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ কিংবা ইন্ডিয়ান পুলিশ কেউই উদ্ধার করতে পারেনি। এ হত্যাকাণ্ডে যিনি ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী, তিনি এখন দেশের বাইরে রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। বিধায় এটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তার করলেই কেবল এই হত্যার মোটিভ জানা যাবে।’

যেহেতু মূল অভিযুক্ত আমেরিকায় পলাতক এবং দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দিবিনিময় চুক্তিও নেই। এই ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফেরাতে কী পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে যে ধরনের প্রচেষ্টা করা দরকার, সেটির সর্বোত্তম চেষ্টা করা হবে। যেহেতু তিনি (আজীম) আমাদের সংসদ সদস্য ছিলেন। সুতরাং তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। যদিও তাদের সঙ্গে (আমেরিকা) আমাদের সেই ধরনের কনট্রাক্ট নেই। এ বিষয়ে অন্য যেকোনও মাধ্যম বা কূটনৈতিক চ্যানেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।‘

এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তিকে কাজে লাগানো হবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, এই ঘটনাটি বাংলাদেশের আইনে বিচার হতে পারে এবং ইন্ডিয়াতেও ঘটনা ঘটেছে ইন্ডিয়াতেও বিচার হতে পারে। সুতরাং এটি আমাদের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

বিষয়:

বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হলেন সৌদি এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় দুই কেজি সোনাসহ সৌদি এয়ারলাইন্সের এক নারী কেবিন ক্রুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এনএসআই, কাস্টমস ও এপিবিএনের যৌথ দলের অভিযানে সোনাগুলো উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ওই কেবিন ক্রুর নাম রোকেয়া খাতুন।

জিয়াউল হক জানান, সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে এসভি–৮০৪ ফ্লাইট গতকাল রাত ১০টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেলে ওই ফ্লাইটের কেবিন ক্রু রোকেয়া খাতুনকে তল্লাশি করে। তল্লাশির সময় কেবিন ক্রু রোকেয়া খাতুনের কাছ থেকে ১১টি সোনার বার, ৮টি সোনার চুড়ি ও ১টি সোনার চেইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা এসব সোনার সম্মিলিত ওজন ১ কেজি ৯৭৯ গ্রাম।

রোকেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


banner close